কথা অমৃত সমান
চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়
বলেছিলাম,
তোমাকে আমি ভালবেসে সোনায় মুড়ে দেব,
হৃদয়ের গভীরে ময়ূর সিংহাসনে হবে তোমার স্থান।
সাতটি রংয়ে ছবি এঁকে দেব তোমার ঘরের দেয়ালে,
পূবালীতে বাজবে ভৈরবীর সুর বৈশাখের প্রখর দাহের শেষে
এক পশলা বৃষ্টিতে কিম্বা হয়তো এক অন্য রকম শ্রাবণে।
হওয়ারতো কথা ছিল এমনই,
অথচ তুমি দেখ,
আমার শরীর জুড়ে আজ প্রদাহ
তোমার নয়ন-তারায় ফুটবে বর্ণোজ্জ্বল রামধনূ ---
সতেজ বৈশাখের দেহলাঞ্ছিত চাকা-চাকা,
বুটি -বুটি কালচে গোলাপি দাগে,
বলেছিলাম,
তোমাকে আমি ভালবেসে সোনায় মুড়ে দেব,
হৃদয়ের গভীরে ময়ূর সিংহাসনে হবে তোমার স্থান।
সাতটি রংয়ে ছবি এঁকে দেব তোমার ঘরের দেয়ালে,
পূবালীতে বাজবে ভৈরবীর সুর বৈশাখের প্রখর দাহের শেষে
এক পশলা বৃষ্টিতে কিম্বা হয়তো এক অন্য রকম শ্রাবণে।
হওয়ারতো কথা ছিল এমনই,
অথচ তুমি দেখ,
আমার শরীর জুড়ে আজ প্রদাহ
তোমার নয়ন-তারায় ফুটবে বর্ণোজ্জ্বল রামধনূ ---
সতেজ বৈশাখের দেহলাঞ্ছিত চাকা-চাকা,
বুটি -বুটি কালচে গোলাপি দাগে,
ছবিঃ মন ব্যানার্জি (কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় , আই আই এম জোকা , ৪র্থ শ্রেণী)
কীটদষ্ট জবা পাতা যেন ক্ষত সারা অঙ্গ জুড়ে,
যেমনটা বোষ্টমীর জন্য তিলক সেবা করে অপেক্ষায় রত বৈষ্ণব।
অতলান্ত ক্লান্তি বাসা বেঁধেছে,
যৌবনের টান -টান পেশীগুলোয়।
প্রেম যেন ফ্যাকাসে পুঁজের মতো
উষ্ণ শোণিত স্রোতে দুঃস্বপ্ন হয়ে ভেসে ওঠে সাতাশেই আমি --
আমি কেমন বুড়িয়ে গেছি, দেখ কবিতা?
তোমাকে কোথায় --
কবিতা, কোথায় আছো কবিতা
অক্ষরের অনাবিল আলপনা তোমাকে দেখি আজ--
অনুকম্পায় নতশির জলদেবীরূপে,
তোমার হাতে ধরা অমৃত কলস
তার গর্ভ থেকে নিরত নিঃসৃত অবিশ্রান্ত জলধারা
তুমি কি দিতে পার এক আঁজলা জল;
আমি, আমি অমর হয়ে যাব।
যেমনটা বোষ্টমীর জন্য তিলক সেবা করে অপেক্ষায় রত বৈষ্ণব।
অতলান্ত ক্লান্তি বাসা বেঁধেছে,
যৌবনের টান -টান পেশীগুলোয়।
প্রেম যেন ফ্যাকাসে পুঁজের মতো
উষ্ণ শোণিত স্রোতে দুঃস্বপ্ন হয়ে ভেসে ওঠে সাতাশেই আমি --
আমি কেমন বুড়িয়ে গেছি, দেখ কবিতা?
তোমাকে কোথায় --
কবিতা, কোথায় আছো কবিতা
অক্ষরের অনাবিল আলপনা তোমাকে দেখি আজ--
অনুকম্পায় নতশির জলদেবীরূপে,
তোমার হাতে ধরা অমৃত কলস
তার গর্ভ থেকে নিরত নিঃসৃত অবিশ্রান্ত জলধারা
তুমি কি দিতে পার এক আঁজলা জল;
আমি, আমি অমর হয়ে যাব।
Comments